নদী ভাঙনে বার বার স্থানান্তরের কারণে লালমনিরহাট জেলার চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার হাজার শিশু শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে।
স্কুলের পাশাপাশি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক পরিবারের বসতবাড়ি। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলোর অনেক শিশু শিক্ষার্থী তাদের পরিবারের সাথে অন্যত্র চলে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও কমে গেছে।
তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীর পাড়ের অসহায় মানুষগুলো বারবার নদী ভাঙনের কবলে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অবশেষে ঠাঁই নেয় বাঁধ কিংবা বিভিন্ন সড়কের ধারে। কেউ কেউ চলে যায় আশ্রয়ের জন্য নতুন ঠিকানার সন্ধানে। অনেকেই আবার জেগে ওঠা কোন চরে কোন মতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেয়। কিন্তু বেঁচে থাকার প্রত্যাশায় এরা কোথাও একটু ঠাঁই করে নিলেও অভাবের জন্য তাদের শিশুদের মাছ ধরা ও মাঠের কাজ ফেলে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে তেমন উৎসাহবোধ করেন না।